শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

Android Root,


রুট কী? 

মোবাইল রুট করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?

এসব প্রশ্নের সহজ উত্তর -
লিখেছেনঃ 
Fahim Rayhan  (ফাহিম রায়হান)

রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক ,একটি পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন।

আপনার ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইচ্ছে করেই আপনাকে রুট অ্যাক্সেস দেয়না। কারন এটি আপনার ডিভাইসের সুরক্ষার জন্যই করা হয়েছে।

ডিভাইস প্রস্তুতকারকরা ইচ্ছে করেই ডিভাইস লক করে দিয়ে থাকেন। রুট ফোল্ডার/­ পার্টিশনে থাকা ফাইলগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এর কোনো একটি দুর্ঘটনাবশতঃ মুছে গেলে আপনার পুরো ডিভাইস কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। 


এছাড়াও ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকারক প্রোগ্রামও অনেক সময় রুট করা ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু লক থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না, তাই অন্য প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।যেখানে প্রযুক্তি নিয়ে খুব একটা ধারণা রাখেন না এমন একজন ভাবলেন যে তিনি তার ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি ফাঁকা করবেন। 


এই উদ্দেশ্যে তিনি রুট ফোল্ডারে গিয়ে সবগুলো ফাইল কাট করে এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করে দিলেন।রুট অ্যাক্সেস থাকার কারণে ট্রান্সফারের সময় ডিভাইস তাকে বাধা দেবে না।

কিন্তু ট্রান্সফারের মাঝেই ফোনটি বন্ধ
হয়ে যাবে এবং আর ঠিকমতো কাজ করবে না।তখন তিনি দোষ দেবেন কোম্পানির কাঁধে।কিন্তু রুট লক করা থাকলে
ব্যবহারকারী রুট ফোল্ডার খুঁজেই পাবেন না।

রুট করার সুবিধা 


পারফরমেন্স বাড়ানোঃ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল,
টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।

ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো।এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়। 


আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে,তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের
ক্ষমতা কমিয়ে আনা।এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।

কাস্টম ইউআইঃ আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে।তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে।এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।

কাস্টম রমঃ ইন্সটল করার সুবিধা।অনেক
ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন।বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না,কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

রুট করার অসুবিধা

ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার
মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল
হয়ে যাবে।তাই রুট করার আগে সাবধান।
অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়।আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল।

তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।

ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা।অর্থাৎ,এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো।

রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে।
আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়।রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিনঃ

কোন মন্তব্য নেই: